“মাথা ব্যথা আজ বেশ ধরেছে, আমার মাথা অনেক ব্যথা করছে মনে হচ্ছে ফেঁটে যাবে” এই লাইনগুলোর সাথে তো আমরা বেশ পরিচিতি। মাথা ব্যথা হচ্ছে এটা তো আমরা সকলেই জানি কিন্তু আসলে এই মাথা ব্যথা কি তা কি আমরা জানি? এটা কি ব্রেনের ব্যথা নাকি অন্য কিছু??

মাথা ব্যথা হলে করণীয় কি
মা-থা ব্যথা ঠিক কি আর এই মাথা ব্যথা কমানোর উপায় কি? মাথা ব্যথা আপনার ব্রেনের মধ্যকার কোন ব্যথা নয়।
মাথাব্যথা হল মাথা বা মুখের এলাকায় ব্যথা বা অস্বস্তি। মাথাব্যথার কয়েকটি প্রকারের মধ্যে রয়েছে মাইগ্রেন,
টেনশন এবং ক্লাস্টার ইত্যাদি। মাথাব্যথা প্রাথমিক বা মাধ্যমিক পর্যায়ের হতে পারে। যদি এটি মাধ্যমিক পর্যায়ের হয়
তবে এটি অন্য অবস্থার কারণে হতে পারে। যেহেতু মাথা ব্যথাা আসলে একটি সাধারণ রোগ হিসেবে পরিগণিত হয়
এবং এর প্রতিকার দরকার তাই আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো মাথা ব্যথা
কমানোর উপায়, মাথা ব্যথা কোন রোগের লক্ষণ, মাথা ব্যথার কারণ ও প্রতিকার, তীব্র মাথা ব্যথার ঔষধ, মাথা ব্যথার
ঘরোয়া ঔষধ ইত্যাদি আরো বিস্তারিত বিষয় যা জানতে হলে আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়তে হবে।
মাথা ব্যথা হলে কি করা উচিত/ মাথা ব্যথা কমানোর উপায় কি
মা-থা ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। অনেক বেশি কোলাহলপূর্ণ জায়গায় দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করলে, ঠান্ডা লাগলে,
লম্বা সময় ধরে কাজ করলে ইত্যাদি আরো বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এখন তাৎক্ষণিকভাবে একজন ব্যক্তি মাথা ব্যথা
উপশমের জন্য যা করতে পারেন বা যা করা উচিত:
- প্রচুর পানি পান করুন।
- আপনার সর্দি বা ফ্লূ থাকলে বিশ্রাম নিন।
- মাথাকে শিথিল করার চেষ্টা করুন – চাপ মাথা ব্যথাকে আরও খারাপ পর্যায়ে নিতে পারে।
- প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন, অ্যাসপিরিন নিন।
- বাড়িতে থাকার চেষ্টা করুন এবং আপনার যদি উচ্চ তাপমাত্রা থাকে শরীরে বা আপনি আপনার স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপগুলি করতে যথেষ্ট ভাল বোধ না করেন তবে কাজ বন্ধ করে বিশ্রাম নিন।
- একটি শান্ত, অন্ধকার ঘরে বিশ্রাম করুন।
- আপনার মাথা বা ঘাড়ে গরম ছেক দিন।
- ম্যাসেজ এবং অল্প পরিমাণে ক্যাফেইন গ্রহণ করতে পারেন।
মাথা ব্যথা কোন রোগের লক্ষণ
যেসব অবস্থার কারণে অপ্রাথমিক দীর্ঘস্থায়ী দৈনিক মাথাব্যথা হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে: স্ট্রোক সহ মস্তিষ্কের ভিতরে এবং তার চারপাশে রক্তনালীতে প্রদাহ বা অন্যান্য সমস্যা। সংক্রমণের কারণেও মাথা ব্যথা হতে পারে যেমন: মেনিনজাইটিস।
মাথা ব্যথার কারণ ও প্রতিকার / মাথা ব্যথা কমানোর উপায় কি
মাথা ব্যথার বিভিন্ন ধরণ রয়েছে। মোট ১৫০ টি মাথা ব্যথার ধরণ রয়েছে যাদেরকে মূলত ২টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি হলো প্রাইমারি হেডেক আরেকটি সেকেন্ডারি বা মাধ্যমিক হেডেক।
প্রাইমারি হেডেক
আপনার মাথার ব্যথা-সংবেদনশীল বৈশিষ্ট্যগুলির কর্মহীনতা বা অতিরিক্ত ক্রিয়াকলাপ প্রাথমিক মাথাব্যথা সৃষ্টির কারণ। সাধারণত বাহ্যিক কারণেও এই মাধা ব্যথা হয়ে থাকে যেমন: অতিরিক্ত কোলাহলের মধ্যে থেকে কাজ করা। আবার কিছু লোকের জিনগত সমস্যার কারণেও প্রাইমারি হেডেক হতে পারে।
প্রাইমারি হেডেক যে কারণে হয়ে থাকে
- অ্যালকোহল, বিশেষ করে রেড ওয়াইন।
- কিছু খাবার, যেমন প্রক্রিয়াজাত মাংস যাতে নাইট্রেট বেশি থাকে (খাবার-উত্তেজক মাথাব্যথা)।
- নিকোটিন গ্রহণ (নিকোটিন মাথাব্যথার কারণ)।
- ঘুমের অভ্যাসের পরিবর্তন বা ঘুমের অভাব।
- শারীরিক কার্যকলাপ, যেমন ব্যায়াম করা (পরিশ্রমের মাথাব্যথা)।
- সময়মতো খাবার না খাওয়া।
- কাশি, হাঁচি, নাক ফুঁকানো, চাপ দেওয়া (যেমন মলত্যাগের সময়), বা জোরে হাসে বা কান্না (প্রাথমিক কাশি মাথাব্যথা)।
উল্লেখ্য: প্রাথমিক মাথাব্যথা সাধারণত বিপজ্জনক নয়, তবে এগুলি খুব বেদনাদায়ক হতে পারে এবং আপনার দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত করতে পারে।
সেকেন্ডারি হেডেক
অন্তর্নিহিত সমস্যার কারণে সেকেন্ডারি মাথাব্যথার সৃষ্টি হতে পারে। এগুলিকে একটি উপসর্গ হিসাবে সাধারণত চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।
যে সকল কারণে সেকেন্ডারি মাথা ব্যথা হয়ে থাকে
- মাথায় আঘাত.
- মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ।
- বিপরীতমুখী সেরিব্রাল ভাসোকনস্ট্রিকশন সিন্ড্রোম।
- রক্তচাপ হঠাৎ, গুরুতর বৃদ্ধি।
উল্লেখ্য: সেকেন্ডারি মাথাব্যথার প্রকারগুলি যা অগত্যা বিপজ্জনক নয় এবং অন্তর্নিহিত অবস্থার চিকিৎসা করার পরে সমাধান হয়ে যায়।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে মাথা ব্যথা দূর করার উপায়
মাথা ব্যথা কমানোর উপায় কি ঘরোয়া পদ্ধতিতে? মাথা ব্যথা হলেই আপনি ঔষধ খাবেন এমনটা ঠিক না কারণ ব্যথানাশক ঔষধ আপনার শরীরে সাইড ইফেক্ট সৃষ্টি করতে পারে। তাই ঘরোয়া পদ্ধতিতেও আপনি আপনার মাথা ব্যথা দূর করতে পারবেন সেই উপায়গুলো হলো:
বিশ্রাশ নিন
অতিরিক্ত বা টানা কাজ করার কারণে আপনার মাথা ব্যথা হতে পারে। তাই কাজ থেকে উঠে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে থাকুন ও বিশ্রাম নিন।
কম আলোতে বা অন্ধাকারে যান
অতিরিক্ত আলোর কারণেও আমাদের মাথা ব্যথা হয়ে থাকে তাই আলো যদি একটু কমিয়ে দেয়া যায় তাহলেও মাথা ব্যথা কমে আসে।
পানি পান
মাথা ব্যথা বেড়ে গেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। কারণ হাইড্রেট থাকলে আপনার মাথা ব্যথা অনেকটা কমে আসবে।
কফি বা ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় খান
ক্যাফেইন জাতীয় পানি আপনার মাথা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে তাই অতিরিক্ত মাথা ব্যথার সময় ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় পান করুন।
মাথার স্ক্যাল্প ম্যাসেজ
মাথার যে জায়গায় ব্যথা করছে সেই অংশে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন তাহলে ব্যথা কিছুটা উপশম হবে।
মাথা ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়
ঘরেই আমাদের এমন কিছু ঔষধ বা রেমেডি আছে যেগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই আমরা মাথা ব্যথার মতো সমস্যাকে চট জলদি ভালো করে ফেলতে পারবো। এই হোম রেমেডিগুলো আপনার মাথা ব্যথা কমাবেই না শুধু এগুলো বেশ স্বাস্থ্যকরও বটে। তো চলুন দেখে নেই মাথা ব্যথা কমানোর উপায় কি কি ঘরোয়াভাবে:
ক্যামোমাইল
মাথাব্যথা উপশমের জন্য ক্যামোমাইল ব্যবহার করার ইতিহাস বেশ পুরনো। যাইহোক, এর ব্যবহারের সমর্থনে পর্যাপ্ত বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই যদিও। আপনি চায়ের মতো করে ক্যামোমাইল নিতে পারেন। পানিতে কিছু ক্যামোমাইল ফুটিয়ে নিন। স্বাদের জন্য আপনি মধু যোগ করতে পারেন এতে। তারপর একটি vaporizer ব্যবহার করে ক্যামোমাইল তেল থেকে শ্বাস নিতে পারেন। এতে করে মাথা ব্যথা কমে আসবে।
তেল
পেপারমিন্ট এবং ল্যাভেন্ডার তেল মাথাব্যথা উপশমের জন্য সবচেয়ে সহায়ক বলে মনে হয়। এদের উভয়েরই আরামদায়ক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ব্যথা উপশমে সহায়তা করে।
তুলসি পাতা
তুলসি পাতায় আছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা আপনার মাথা ব্যথাকে কমাতে দারুনভাবে কাজ করে। তাই কয়েকটি তুলসি পাতা হাতে ঘসে তা কপালে কিছুক্ষণের জন্য লাগিয়ে রাখুন এতে করে আপনি ভালো বোধ করবেন।
রোজমেরি
রোজমেরি এক প্রকারের গুল্ম। এটি দিয়ে চা বানিয়ে খেলে মাথা ব্যথা থেকে সাথে সাথে মুক্তি পাবেন।
আদা
আদা পুরনো ও সফল একটি মাথা ব্যথানাশক ঔষধ যা খুব দ্রুতই মাথা ব্যথা কমিয়ে আনে। আদায় আছে অ্যন্টি-ইনফ্লেমটমি উপাদান যা কপালে ম্যাসাজ করলে তা ব্লাড ভেসেলেরর প্রদাহ কমিয়ে আনে।
তীব্র মাথা ব্যথার ঔষধ
সাধারণত মাথা ব্যথা কমানোর জন্য বাংলাদেশের মানুষজন প্যারাসিটেমল খেয়ে থাকেন এতে করে মাথা ব্যথা সেরেও যায়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় মাথায় তীব্র ব্যথা হচ্ছে এবং তা কমছেও না। তীব্র মাথা ব্যথা সাধারণত যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে তাদের হয়ে থাকে। তীব্র মাথ ব্যথার ঔষধ রয়েছে যা খেলে আপনি উপশম পাবেন আশাকরি। তীব্র মাথা ব্যথার ঔষধ হলো মিগরেক্স (Migrex 200) ২০০ mg ট্যাবলেট। এর প্রতিটি ট্যাবলেটে আছে টফেনামিক এসিড বিপি 200 মিলিগ্রাম।
Migrex 200 gm খাওয়া নিয়ম
প্রাপ্তবয়স্ক: ২০০ মিলিগ্রাম যখন প্রথম লক্ষণ দেখা দেয় ১-২ ঘন্টা পরে একবার পুনরাবৃত্তি করা যেতে পারে। রেনাল বৈকল্য: ডোজ সমন্বয় প্রয়োজন হতে পারে। গুরুতর অবস্থায় এটি এড়িয়ে চলুন।
শিশু: একটি পেডিয়াট্রিক ডোজ রেজিমেন এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। রেনাল বৈকল্য: ডোজ সমন্বয় প্রয়োজন হতে পারে। গুরুতর অবস্থায় এড়িয়ে চলুন। এটি খাবারের সাথে নিতে হবে। খাবারের পরপরই পানি পান করুন।

বিশেস সতর্কতাসমূহ
হাঁপানি, ব্রঙ্কোস্পাজম, রক্তক্ষরণজনিত ব্যাধি, কার্ডিওভাসকুলার রোগ, পেপটিক আলসারেশনের ইতিহাস, উচ্চ রক্তচাপ, সংক্রমণের রোগী, লিভার, কার্ডিয়াক, বা রেনাল ফাংশন বৈকল্য। ডিসুরিয়া কমাতে পানি খাওয়া বা ডোজ হ্রাস বাড়ান, বয়স্ক; স্তন্যপান করা অবস্থায় এই ঔষধ খাওয়া যাবে না। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যে কোন মাথা ব্যথার ঔষধ খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ বা প্রেসক্রিপশন নিয়ে তারপরই খাবেন।
মাথা ব্যথার ঘরোয়া ঔষধ
মাথা ব্যথার ঘরোয়া ঔষধ কি সে সম্পর্কে আমি উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সাধারণে আমাদের যেই মাথা ব্যথা হয়ে থাকে তা ঘরেই আপনি সমাধান করতে পারেন কিছু নিয়ম মানলে। সাধারণ বেশিরভাগ মাথা ব্যথা লাইফ স্টাইলের কারণেই হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি আপনার লাইফ স্টাইলের পরিবর্তন আনতে পারেন তাহলে মাথা ব্যথাও ৯০ শতাংশ ঠিক হয়ে যাবে।
শারীরিক ব্যয়াম, স্বাস্থ্যকর খাদ্য, এবং একটি উন্নত জীবনধারা যেমন: পর্যাপ্ত ঘুম এবং মাদক জাতীয় জিনিস এড়িয়ে চলা, মাথা ব্যথার তীব্রতা কমাতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখে। বিশেষ করে মাইগ্রেনের রোগীরা এই বিষয়গুলোর উপর গুরুত্বসহকারে খেয়াল রাখবেন মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে।
মাথা ব্যথা কমানোর উপায় কি ও কিছু প্রয়োজনীয় টিপস
মা-থা ব্যথা কমানোর উপায় ও টিপস কি কি? মাথা ব্যথা হওয়ার পর সেটার চিকিৎসা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার থেকে যদি
এর আগেই তা প্রতিরোধ করা যায় তাহলে কেমন হয়? তাই নিম্নলিখিত প্রমাণ-ভিত্তিক কিছু টিপস দিয়ে আজ
আপনাদেরকে সাহায্য করবো:
হাইড্রেটেড থাকুন
সারাদিন হাইড্রেটেড থাকা আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপকার করার সাথে সাথে মাথাব্যথার ঝুঁকি কমানোর একটি সহজ উপায়। অ্যাক্টিভিটি লেভেল, শরীরের আকার এবং আরও অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে হাইড্রেশনের প্রয়োজনীয়তা পরিবর্তিত হয়, তাই আপনার শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী পানি পান করুন নিয়মিত।
অন্তর্নিহিত কারণগুলি চিহ্নিত করুন
পুষ্টির ঘাটতি সহ মাথাব্যথার অনেক সম্ভাব্য অন্তর্নিহিত কারণ রয়েছে। আপনি যদি ঘন ঘন মাথাব্যথার সম্মুখীন হন, তাহলে সম্ভাব্য কারণগুলি বাতিল করার জন্য একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ চেকআপের জন্য একজন চিকিৎসকরে পরামর্শ নিয়ে তা চিহ্নিত করতে পারেন যে কি কি কারণে আপনার নিয়মিত মাথা ব্যথা হচ্ছে।
নিয়মিত খাবার খান
কম খাওয়া এবং ক্যালোরি সীমাবদ্ধ করার ফলে আপনার মাথাব্যথা হতে পারে। নিশ্চিত করুন যে আপনি সারাদিনে পর্যাপ্ত ক্যালোরি গ্রহণ করছেন এবং না খেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে থাকবেন না
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম
ঘুমের অভাব এবং অতিরিক্ত ঘুম উভয়ই মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে। সঠিক পরিমাণে ঘুমানো গুরুত্বপূর্ণ, খুব বেশি বা খুব কম নয়। প্রতি রাতে ৭-৯ ঘন্টা ঘুমের অভ্যাস তৈরি করুন এবং অবশ্যই তা নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে।
আপনার স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন
স্ট্রেস কিছু ধরণের মাথাব্যথার কারণ হতে পারে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। আপনার জীবনে ব্যায়াম, ওষুধ এবং যোগব্যায়ামের মতো স্বাস্থ্যকর স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট অনুশীলনগুলি আপনার স্ট্রেস লেভেলকে যতটা সম্ভব কমাতে সাহায্য করতে পারে পাশাপাশি যতটা সম্ভব নিজেকে স্ট্রেসে পড়েন এমন বিষয় থেকে দূরে রাখা উচিত।
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন?
মাথা ব্যথা কমানোর উপায় কি?
মাথা ব্যথা কমানোর উপায় কি? সেই বিষয়ে তো আজ আমরা বিস্তারিত জানলাম কিন্তু সবকিছুতেও যদি সমাধান না মিলে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। তাই আপনার পরিশেষে এটাও জানা উচিত যে, কখন আপনার ডাক্তারের কাছে যেতে হবে:
মাথাব্যথা যা মাথায় আঘাতের পরপরই হয়ে থাকে তাহলে আপনার অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।
মাথা ঘোরা, কথা বলতে সমস্যা, বিভ্রান্তি বা অন্যান্য স্নায়বিক উপসর্গ সহ মাথাব্যথা দেখা দিলে।
তীব্র মাথাব্যথা যা হঠাৎ করে হওয়া শুরু করে।
মাথাব্যথা যা ব্যথার ঔষধ খাওয়ার পরেও আরো খারাপ হতে থাকে।