ড্রাগ লাইসেন্স করার নিয়ম কত টাকা লাগে অফিস কোথায়

ড্রাগ লাইসেন্স কিভাবে করতে হয়, ড্রাগ লাইসেন্স করার জন্য কি কি লাগে এই বিষয়ে অনেকেরই জানা নেই।

আজকের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে লাইসেন্স করার বিষয়ে জানতে পারবেন। তাছাড়া লাইসেন্স বিষয়

সম্পর্কিত আরো অনেক বিষয় সম্বন্ধে উত্তর পাবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাকঃ

যারা এক্সপোর্ট ইমপোর্ট লাইসেন্স করতে চান এই আর্টিকেলটা পড়ুন এক্সপোর্ট ইমপোর্ট লাইসেন্সটি কিভাবে

সহজে করা যায়। দেশের কোনো সম্পদ বিদেশে পাঠাতে এবং বিদেশি কোনো জিনিস দেশের ভিতর

আনার জন্য যে অনুমতিপত্র অর্থ্যাৎ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট লাইসেন্স করতে হয়

ড্রাগ লাইসেন্স করা কেন জরুরী

আমাদের শরীরে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমরা সর্বপ্রথম ওষুধের ফার্মেসিতে বা মেডিকেল শপে যাই।

তারপর সেখান থেকে ওষুধ সংগ্রহ করে অনেকে খেয়ে থাকেন। এই সকল ওষুধের ফার্মেসি গুলোর বৈধভাবে

যদি ব্যবসা করতে হয় তাহলে অবশ্যই ড্রাগ লাইসেন্স প্রয়োজন।অর্থাৎ লাইসেন্স ব্যতীত যারা ওষুধের

ফার্মেসি দিয়ে ব্যবসা করছেন তারা অনেকটা অবৈধ। এতে করে ব্যবসা ক্ষেত্রে পরবর্তীতে অনেক ধরনের সমস্যার

সম্মুখীন হতে পারে।তাই অবশ্যই ফার্মেসি চালু করে বৈধভাবে ব্যবসা করতে হলে লাইসেন্স করতেই হবে।

এই ড্রাগ লাইসেন্সের মেয়াদ হয়ে থাকে মাত্র দুই বছর। দুই বছর পর আবার ড্রাগ লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য আবেদন করতে হয়।

ড্রাগ লাইসেন্স করার নিয়ম 

আপনারা অনেকেই জানেন নতুন খুচরা এলোপ্যাথিক মডেল ফার্মেসি, এবং মেডিকেল শপ দেওয়ার জন্য ড্রাগ

লাইসেন্স করার প্রয়োজন পড়ে।লাইসেন্স করার জন্য কিছু শর্তাবলী রয়েছে যেগুলো পালন করলে

লাইসেন্স আবেদনটি গৃহীত হয়ে থাকে। তাই অবশ্যই ড্রাগ লাইসেন্স করার নিয়ম সম্পর্কে জানাটা জরুরী।

ড্রাগ লাইসেন্স করতে কি কি প্রয়োজন 

ড্রাগ লাইসেন্স করার জন্য কিছু ডকুমেন্ট লাগবে এবং প্রয়োজনীয় কিছু টাকা ফি প্রদান করতে হবে। তারপরে

সবকিছু যাচাই-বাছাই করে লাইসেন্স আবেদনকারী ব্যক্তির দেওয়া হয়ে থাকে। নিচে ড্রাগ লাইসেন্স করার জন্য

কি কি কাগজপত্র লাগে তা উল্লেখ করা হলো:-

১.ফর্ম ৭ পূরণ করতে হবে। যারা মডেল ফার্মেসি দিতে চান তাদের জন্য ৩০০ বর্গফুট জায়গা লাগবে এবং মেডিকেল

শপের জন্য ১২০ বর্গফুট জায়গা প্রয়োজন হবে।

২.ট্রেজারি চালানোর মূল কপি লাগবে।

৩.মালিকের জাতীয় পরিচয় পত্র প্রয়োজন হবে এবং ব্যাংক সচ্ছলতার সনদ লাগবে।

৪.মডেল ফার্মেসি জন্য বি সি গ্রেড ফার্মাসিস্টের রেজিস্ট্রেশনের সত্যায়িত কপি লাগবে। তাছাড়া এর সাথে দোকান

ভাড়ার চুক্তি নামা, ভাড়ার রশিদের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে

ড্রাগ লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে

ড্রাগ লাইসেন্স করার জন্য ফি কত টাকা নেওয়া হয়ে থাকে এই বিষয়ে অবশ্যই জ্ঞান রাখা উচিত। ড্রাগ লাইসেন্স

করার জন্য দুই রকম পদ্ধতিতে ফি নেওয়া হয়ে থাকে।অর্থাৎ কেউ যদি মডেল ফার্মেসী ও মেডিকেল শপ

মেট্রোপলিটন থানা বা পৌরসভার মধ্যে দিতে চান তাহলে এই ক্ষেত্রে তাকে ফি প্রদান করতে হবে ২৫০০ টাকা।আর

এর বাইরে যদি মডেল ফার্মেসী বা মেডিকেল শপ দেওয়ার জন্য আবেদন করেন তাহলে এক্ষেত্রে আবেদনকারী

ব্যক্তিকে ১৫০০ টাকা জমা দিতে হবে।

ড্রাগ লাইসেন্স অফিস কোথায়

ড্রাগ লাইসেন্স অফিস কোথায় বা ড্রাগ লাইসেন্স করার জন্য কোথায় যোগাযোগ করতে হয় এই নিয়ে অনেকের প্রশ্ন

রয়েছে।ড্রাগ-লাইসেন্স সম্পর্কিত যেকোনো অসুবিধার জন্য আপনারা সরাসরি ঔষধ প্রশাসন ১০৫-১০৬, মতিঝিল

বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা ১০০০।টেলিফোন নাম্বার ৮৮০-২৯৫৫৬১২৬ অথবা মেইল করা যাবে (drugs@citech.net।)

ড্রাগ লাইসেন্স কত দিনে পাওয়া যায় 

ড্রাগ লাইসেন্স পাওয়ার জন্য অবশ্যই আবেদনকারী ব্যক্তি কে প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহ আবেদনপত্রের সাথে জমা

দিতে হবে। তারপরে তারা ডকুমেন্টগুলো যাচাই-বাছাই করবে এবং যাচাই-বাছাই শেষে ডকুমেন্ট যদি সঠিক পেয়ে

থাকে তাহলে ৯০ কার্য দিবসের মধ্যে লাইসেন্স ব্যবহারকারী হাতে পেয়ে যাবেন।

ড্রাগ লাইসেন্স চেক করার নিয়ম

➡️প্রথমে আপনারা সরাসরি গুগল প্লে স্টোরে চলে যাবেন অথবা (https://play.google.com/store/apps/details?id=com.adr.dgda.bd )এই লিংকটি ব্যবহার করে ড্রাগ ভেরিফিকেশন অ্যাপটি ডাউনলোড করে নেবেন।

➡️অ্যাপটি ইন্সটল হয়ে গেলে চালু করতে হবে এবং প্রোফাইল ইনফরমেশন দিয়ে সবকিছু ঠিক করে নিতে হবে।

➡️তারপরে সার্চ বাটনে গিয়ে মেডিসিন নাম অথবা কোম্পানির নাম লিখে সার্চ করলেই বেরিয়ে যাবে সবকিছু।

অর্থাৎ এখান থেকে ওষুধের বিবরণ সম্পর্কে ও কোম্পানি সম্পর্কে সবকিছুই জেনে নিতে পারবেন।

ড্রাগ লাইসেন্স নবায়ন করার নিয়ম

ড্রাগ লাইসেন্সের মেয়াদ হয়ে থাকে দুই বছর।ড্রাগ-লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরপরই আবার ড্রাগ

লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়।ড্রাগ-লাইসেন্স নবায়ন না করলে পরবর্তীতে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়

এবং অতিরিক্ত ফি দিতে হয়। ড্রাগ-লাইসেন্স নবায়ন করতে হলে ৫ থেকে ৭ কর্ম দিবস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়

নবায়নকৃত ড্রাগ লাইসেন্স হাতে পেতে।

শেষ কথা, আশা করি আজকের পোস্টটি যারা পড়েছেন তারা লাইসেন্স করার নিয়ম বা ড্রাগ লাইসেন্স করতে

কি কি লাগে এই বিষয়ে মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন।তাছাড়া বুঝতে পেরেছেন বৈধভাবে ফার্মেসি ব্যবসা করতে হলে

ড্রাগ লাইসেন্স কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তারপরেও যদি এই বিষয়ে কোনো ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে বা পোস্টটি পড়ে

কোন বিষয় সম্পর্কে বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *