এক্সপোর্ট ইমপোর্ট লাইসেন্স কিভাবে করবো ২০২৩ সালের নতুন নিয়মে

আজ আমরা শিখব এক্সপোর্ট ইমপোর্ট লাইসেন্সটি কিভাবে সহজে করা যায়। প্রথমে জেনে নিন, দেশের কোনো সম্পদ বিদেশে পাঠাতে এবং বিদেশি কোনো জিনিস দেশের ভিতর আনার জন্য যে অনুমতিপত্র

লাগেসেটাইএক্সপোর্ট ইমপোর্ট লাইসেন্স। লাইসেন্সটি ছাড়া আমদানি রপ্তানি ব্যবসা করা যাবে না।

আর এটি করলে তা বেআইনি কাজ করা হবে যার জন্য আপনার বিরুধ্যে আইনি বেবস্থা নেওয়া হবে নিশ্চ্য়ই। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ লাইসেন্স একজন ব্যবসায়ীর জন্য। আমার এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি আপনারা যদি মনোযোগ দিয়েপড়েন তাহলে সহজেই বুজতে পারবেন এবং লাইসেন্স করতে পারবেন। তাহলে শুরু করা যাক আজকের এই আর্টিকেলটি।

এক্সপোর্ট ইমপোর্ট লাইসেন্স কিভাবে করবো ২০২৩ সালের নতুন নিয়মে
এক্সপোর্ট ইমপোর্ট লাইসেন্স কিভাবে করবো ২০২৩ সালের নতুন নিয়মে

এক্সপোর্ট ইমপোর্ট লাইসেন্স কিভাবে করবো ২০২৩

এখন আমরা শিখবো কি কি নিয়ম মেনে এক্সপোর্ট ইমপোর্ট লাইসেন্স করা লাগে। কোন কোন কাগজপত্র লাগবে এবং কোথায় কোথায় যেতে হবে। কি কি কাজে কত টাকা লাগবে সেটিও বুঝতে পারবেন। নিয়ম মেনে আপনারা যদি লাইসেন্স এর জন্য কাজ করেন তাহলে অল্প দিনেই (৪/৫ দিন)  লাইসেন্সটি পেয়ে যাবেন।

যেকোনো ব্যাবসার ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য এই আর্টিকেল টা পড়ুন। এখানে ক্লিক করুন

এক্সপোর্ট ইমপোর্ট লাইসেন্স করতে নিচের জিনিসগুলো অবশ্যই লাগবে তানাহলে লাইসেন্সটি  কোনোভাবেই করা যাবে না।

১। ১টি ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স

২। টিন সার্টিফিকেট

৩। ব্যবসার ভ্যাট টেক্স সার্টিফিকেট

৪। চেম্বার অব কমার্স এর মেম্বারশীপ সার্টিফিকেট

৫। বেক্তিগত ইনকাম টেক্স এর সার্টিফিকেট

৬। ই সি আর সার্টিফিকেট

৭। ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট

৮। ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি

৯। ভোটার আইডির ফটোকপি

এক্সপোর্ট ইমপোর্ট লাইসেন্স করার উপায়

প্রয়োজনীয় তথ্য / কাগজ সাথে নিয়ে আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর ঢাকা এ যেতে হবে। নিজে গিয়ে

কিছু ফরম পূরণ করতে হবে। তারপর আপনার সকল তথ্য সহ ফরমটি পূরণ করে চীফ কন্ট্রোলার এর কাছে জমা

দিতে হবে।  চীফ কন্ট্রোলার আপনার সকল তথ্য দেখে সঠিক মনে হলেই আপনাকে লাইসেন্সটি প্রদান করবে।

এক্সপোর্ট ইমপোর্ট লাইসেন্স ফি- কত টাকা ফি লাগে

১) নতুন এক্সপোর্ট সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন এর জন্য

সরকারি ফি : ১০০০০ + ভ্যাট ১৫০০ + বই ফি ১০০০ + আউট ফি ৫০০০, মোট: ১৭৫০০ টাকা

** সার্টিফিকেটটি রিনিউ  এর জন্য  (প্রতি বছর)

সরকারি ফি : ৭০০০ + ভ্যাট ১০৫০ + আউট ফি ৫০০০, মোট: ১৩০৫০ টাকা

২) নতুন ইমপোর্ট সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন এর জন্য

সরকারি ফি : ৮০০০০+ ভ্যাট ১২০০০+ বই ফি ১০০০+ আউট ফি ৭০০০, মোট: ১০০০০০ টাকা

** সার্টিফিকেটটি রিনিউ  এর জন্য  (প্রতি বছর)

সরকারি ফি : ৩২০০০+ ভ্যাট ৪৮০০+ আউট ফি ৫২০০, মোট: ৪২০০০

সার্টিফিকেটটি আনলিমিটেড জিনিস ইমপোর্ট করার জন্য এটি আনলিমিটেড করাই ভাল। তাছাড়া আপনারা ১

কোটি, ৫ কোটি, ২০ কোটি, ৫০ কোটি টাকা লিমিট এর সার্টিফিকেট করতে পারবেন ক্ষেত্রবিশেষে ফি ও কমবে।

আপনি যে লিমিট এর সার্টিফিকেট করলেই হবে মনে করবেন সেই লিমিট এর সার্টিফিকেট করতে পারেন। এই ফি

ব্যাংক এর চালান এর মধ্যমে জমা দিতে হবে। সোনালী ব্যাংক বা অন্য যেসব ব্যাংক চালান জমা রাখে সেই ব্যাংক এ

চালান জমা দিতে পারবেন।

আমদানি রপ্তানি অফিস

আমরা মনে করি জিনিস আমদানি রপ্তানি করতে অনেক বড় অফিস নিতে হবে। একটা বড় শহরে অফিস লাগবে

তানাহলে হবে না। অনেক টাকা পুঁজি লাগবে এতো টাকা আমার কাছে নেই। প্রকৃত অর্থে এসব কিছুই লাগবে না।

আপনারা যে যেজায়গায় থাকেন সেখান থেকেই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। আপনারা গ্রামে থেকে ছুটো জায়গা

নিয়ে অল্প পুঁজি দিয়ে ব্যবসা  শুরু করতে পারেন। শুধু আপনার প্রয়োজন ছুটো একটি ব্যবসা যার কাগজ দিয়ে

এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট এর সার্টিফিকেট করতে পারবেন।

আমদানি রপ্তানি কিসু গুরুত্ব পূর্ণ কতা

পণ্য আমদানি রপ্তানি করতে বিশাল অফিস নিতে হয় না এমনকি শহরে অফিস নেয়া লাগে না। গ্রামে থেকেও

আমদানি রপ্তানি ব্যবসা করতে পারবেন। বেশি টাকা পুঁজি লাগার ও কোনো বাস্তবতা নেই। আপনারা যে জায়গায়

থাকেন সেই  জায়গায় কোন জিনিস এর চাহিদা বেশি তা আপনাকে বুঝতে হবে। এবং ওই জিনিস ক্রয় করার মাধ্যমে

আপনার আমদানির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। একইরকমভাবে আপনি যে যে জায়গায় থাকেন সেখানে থেকে

বিদেশে যে জিনিস এর চাহিদা বেশি তা উৎপাদন করতে হবে এবং তা বিদেশে রপ্তানি করার মাধমে রপ্তানি ব্যবসা

শুরু করতে পারবেন। এই ব্যবসা করার জন্য আপনার ইচ্ছা থাকতে হবে আর ব্যবসা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে

হবে। ভালো জ্ঞান নিয়ে ব্যবসা করলে যেকোনো ব্যবসা করেই সফলতা অর্জন করা যাবে। আপনার যদি পুঁজি

একেবারে কম হয় সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে আপনি কারো সাথে ব্যবসার পার্টনার হতে পারেন। ব্যবসার পার্টনার হয়েও

আপনি আমদানি ও রপ্তানিকারক হতে পারেন। সেইক্ষেত্রে আপনি আপনার যৌথ ব্যবসার কাগজপত্র দিয়ে

এক্সপোর্ট ইমপোর্ট এর লাইসেন্স করেত পারবেন। আমদানি রপ্তানি ব্যবসা অনেক লাভজনক ব্যবসা । আপনারা

হয়তো জানেন না ছুটো পরিসরে এই ব্যবসা করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব।

এক্সপোর্ট ইমপোর্ট লাইসেন্স ২০২৩

আশা করি আপনারা আমার এই আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন এক্সপোর্ট ইমপোর্ট এর লাইসেন্স করার নিয়ম সম্পর্কে। কিভাবে করতে হবে আমদানি রপ্তানি ব্যবসা। সবাই নিয়ম মেনে ব্যবসা করুন সফলতা আপনার আসবেই। শুধু আপনাকে হতে হবে ব্যবসায়িক মনমানসিকতার। আপনারা সবাই লাইসেন্স করে ব্যবসা করুন এবং আর্থিকভাবে লাভবান হন। সকল ব্যবসায়ীর জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো সফল আপনিও হবেন।

One Comment on “এক্সপোর্ট ইমপোর্ট লাইসেন্স কিভাবে করবো ২০২৩ সালের নতুন নিয়মে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *